আজ উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীত শিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন
বাংলাদেশের সংগীত ভূবনের উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। দেশের গণ্ডি ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে পরিচয় পৌঁছে দিয়েছেন বাংলা গানের দ্যুতি।তিনি রুনা লায়লা। বাংলা ছাড়াও উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি,জাপানি, ফরাসি, লাতিন ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন তিনি। উপমহাদেশের কিংবদন্তী এই সংগীত শিল্পীর জন্মদিন আজ।
১৯৫২ সালে আজকের দিনে সিলেটে রুনা লায়লার জন্ম। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা । রুনার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে রুনা লায়লার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।
১৯৬৬ সালে হাম দোনো চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের মধ্যদিয়ে সংগীতাঙ্গনে আলোচনায় আসেন রুনা লায়লা। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তান টেলিভিশনে দাপটের সঙ্গে সংগীত পরিবেশনা করতে থাকেন তিনি।
১৯৭৪ সালে কলকাতায় তাঁর জনপ্রিয় সাধের লাউ গানটি রেকর্ডিং হয়। একই বছর মুম্বাইয়ে তিনি প্রথমবারের মত লাইভ কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। প্রখ্যত সংগীত পরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির সাথেও কাজ করেন রুনা লায়লা।
উস্তাদ মেহদী হাসান লতা মুঙ্গেশকরের মতো শিল্পিদের সন্নিদ্ধ লাভ করেন তিনি। “ও মেরা বাবু চেল চাবিলা” ও “দামা দম মাস্ত কালান্দার” গান দিয়ে ভারত জুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন রুনা লায়লা।
তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত হলেও বাংলাদেশের বাইরে গজল শিল্পী হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে সুনাম আছে তার।
সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি করেছেন অভিনয়। দিয়েছেন সংগীত নির্দেশনা।
ডেস্ক নিউজ/বিজয় টিভি