ডোপ টেস্টে রাজশাহীর মাদকাসক্ত ৪ পুলিশ শনাক্ত
রাজশাহী জেলা পুলিশের চার সদস্য মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি ডোপ টেস্টে তারা মাদকাসক্ত বলে শনাক্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন।
তিনি জানান, গত রোববার জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের আরও ৮ পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেসব ফলাফলও ঢাকা থেকে রাজশাহীতে এসে পৌঁছাবে।
জেলা পুলিশের সূত্র বলছে, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় দেশের মধ্যে রাজশাহীর বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশের মাদকাসক্ত হওয়ার ঝুঁকি অধিক। রাজশাহী জেলায় পুলিশের মাঝে মাদকাসক্তির হার অধিক বিবেচনায় ডোপ টেস্ট চলমান রয়েছে। তবে কিট সংকটে রাজশাহী মহানগর পুলিশে (আরএমপি) ডোপ টেস্ট শুরু হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ মতে, অক্টোবরে রাজশাহী জেলা পুলিশে সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়। ইতোমধ্যে ৭ সন্দেহভাজনের ডোপ টেস্ট করার পর ৪ জনকে শনাক্ত করা হয়। এই চারজনই বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহারসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, রোববার রাজশাহী জেলা পুলিশের আরও আটজনের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল রয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে এসব টেস্টের ফলাফল জেলা পুলিশের হাতে আসবে। আরও কিছু সন্দেহভাজন সদস্যের ডোপ টেস্ট হবে। রাজশাহী পুলিশ হাসপাতালের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে ডোপ টেস্ট কমিটি করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রথমে ফলাফল ঢাকায় পুলিশ সদর দফতরে পাঠিয়ে থাকে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা বা মহানগর পুলিশকে ফলাফল জানানো হয়।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার আরও জানান, পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি রাজশাহীর প্রতিটি থানা ও ফাঁড়িসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। মাদকাসক্ত হিসেবে যারা সন্দেহভাজন তাদের নাম গোপনে পুলিশ সুপারের কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো থানার ওসি বা ইউনিট প্রধান অধীনস্থ কোনো সন্দেহভাজনের বিষয়টি গোপন করলে ওসির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি