গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের সব নীতি ভঙ্গ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৮টি স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে। এসব স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল হাজার হাজার বাস্তুহারা লোকজন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউেএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বাড়ি-ঘর এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অবকাঠামোতে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৮১ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে (ইউএনএসসি) জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ইতিহাসের সবচেয়ে নথিভুক্ত গণহত্যা।
ইউএনএসসিতে নিযুক্ত ওয়াশিংটনের দূত বলেছেন, কাউন্সিল একটি দাবি করার প্রায় চার মাস পর গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি গ্রহণের জন্য আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিম এলাকায় আল-মাওয়াসিতে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে অন্তত ৯০ জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়। গত শনিবার (১৩ জুলাই) সেফ জোনটিতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে দফায় দফায় বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। গত প্রায় ৯ মাস ধরে গাজার এমন কোনো স্থান এখন বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারেন, এই প্রথম জানালেন বাইডেন
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৭৯৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৯ হাজার ৩৬৪ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।