ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তারা দক্ষিণ লেবাননে বর্তমানে হিজবুল্লাহর সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করছেন না।
তিনি দাবি করেছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত। তবে, সেনারা বৈরুত বা দক্ষিণ লেবাননের কোনো শহরে ঢুকছে না। তবে আজ বুধবার হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের যোদ্ধরা দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক দলের মুখোমুখি হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক দল আজ বুধবার ভোরবেলা ওদাইসেহ শহরে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা চালিয়েছিল। হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের ব্যাপক প্রতিরোধে মুখে দলটি পিছু হটতে বাধ্য হয়।
আল জাজিরা জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধে আহত ইসরায়েলি সেনাদের হেলিকপ্টার করে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়ার অসমর্থিত খবর পাওয়া গেছে।
গত সোমবার রাতে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। স্থল হামলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী তিনটি অঞ্চলে ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে একটি অঞ্চল হলো ওদাইসেহ। এটি এমন একটি এলাকা, যেখানে ইসরায়েলি সৈন্যরা প্রবেশের চেষ্টা করছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থল অভিযানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে মুখোমুখি লড়াইয়ের এটি প্রথম ঘটনা। আর এতে ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আজ বুধবার লেবানন ও হাজায় বিমান হামলা আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননে ইসরায়েলি হামলা নিহতের হয়েছেন প্রায় সংখ্যা ১ হাজার ৯০০ জন। গত সপ্তাহ থেকে লেবাননে তীব্র বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার পাশাপাশি লেবাননেও স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব।