আল আকসায় সহিংসতার ঘটনায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগ
আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এছাড়াও মসজিদটিতে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
উভয় পক্ষকেই সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে শুক্রবার জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের ঘটনায় ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় ১৫২ জন আহতের পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনী আরও চার শতাধিক ফিলিস্তিনিকে আটক করে। এদিকে ইস্টার সানডে ও রমজান উপলক্ষ্যে জেরুজালেমে ব্যাপক সংখ্যক প্রার্থনাকারীরা জড়ো হচ্ছেন। এই সংঘর্ষের ফলে অঞ্চলটিতে বড় আকারে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংকট নিরসনে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরে অভিযানের জেরে সৃষ্ট সহিংসতায় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে স্থাপনাটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কমিটি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর হওয়ার আগেই ইসরায়েলি পুলিশ জোর করে আল-আকসা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। সেসময় ফজর নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য হাজার হাজার মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইনে প্রচারিত ভিডিওগুলোতে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে ইসরায়েলি পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। জবাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছে ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া থেকে বাঁচতে উপস্থিত অন্য মুসল্লিদের মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের জরুরি সেবা জানিয়েছে, তারা কমপক্ষে ৬৭ জন আহত ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এনডাউমেন্ট কমিটি জানিয়েছে, মসজিদের একজন প্রহরীর চোখে রাবার বুলেট দিয়ে গুলি করা হয়েছে।
তবে ইসরায়েলি পুলিশের দাবি, সকালের (ফজর) নামাজ শেষ হওয়ার পরও বহু মানুষ ভেতরে অবস্থান করছিল এবং ‘সহিংস’ ব্যক্তিদের সরিয়ে দিতেই ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান এবং ইহুদিদের টেম্পল মাউন্ট হিসেবে পরিচিত এই স্থাপনায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ করে।