একনেকে ১২ হাজার ১৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

৩৮

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৯০ কোটি ১৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার কোটি ৩৯ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আরবান ডেভেলপমেন্ট এন্ড সিটি গভর্ন্যান্স প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ১৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) ঋণ থেকে ২ হাজার ২১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। চলতি বছর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইস্টিটিটিউট (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোটমনি নিবাস হোস্টেল নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলায় উপকুলিয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও তীর সংরক্ষণ প্রথম পর্যায় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সেচ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জ জেলার ১০টি উপজেলায় নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ, ওয়েভ প্রটেকশন এবং খাল পুনঃখনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ঢাকাস্থ ডেসকো এলাকায় বৈদ্যুতিক অবকাঠামো সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৭২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড ও মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।