অবৈধ বানিজ্য চলছে কক্সবাজার সৈকতে

৩৬১

কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা চলছে কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে বালিয়াড়ি দখল করে।

বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়ন্টের বালিয়াড়ি দখল করে চলছে অর্ধকোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য। বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির অধীনে পর্যটন সেলের অসাধু কর্মকর্তাদের কার্ড বানিজ্যের কারনে বালিয়াড়ি দখল করে তৈরী করা হচ্ছে ভ্রাম্যমান দোকান।

রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন সাধারণ জনতার হতাশার শেষ থাকে না। এটাই বাস্তবতা। তেমনটাই হয়েছে ২১শে জানুয়ারি রাতের আধারে সুগন্ধা পয়েন্টে বালিয়াড়ী দখল করে বসেছে প্রায় অর্ধ শতাধিক ভ্রাম্যমান দোকান। প্রতি দোকানের জায়গা ও কার্ড বাবদ নেয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা হারে এমনটাই জানা যায়।

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটন সেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ঘোষ দুর্নীতির করনে লাবনী, সুগন্ধ্যা, কলাতলী পয়েন্টের বালিয়াড়িতে অবৈধ স্থপনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুগন্ধ্যা পয়েন্টের বিশাল আকার বালিয়াড়ি দখল করে চারিদিকে পলিথিনের ভেড়াদিয়ে ভিতরে দোকান নিমার্ণ করছেন একশ্রেণীর ভূমি দস্যুরা। এসব ভূমি দস্যুদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কার্ড বানিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে খোদ পর্যটন সেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

সৈকতের সৌন্দর্য ও জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে কোন ধরনে স্থাপনা না করার জন্য হাই কোর্টের রায় থাকা সত্তেও এ রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সুগন্ধ্যা পয়েন্টের বালিয়াড়ি দখল করে নতুন করে বসেছে ৪০ থেকে ৫০টি ভ্রাম্যমান দোকান। সৈকত সুরক্ষায় রয়েছে বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি। যার দায়িত্বে রয়েছে জেলা প্রশাসক। এ কমিটিকে কিছুই জানানো হয়নি। বালিয়াড়িতে নতুন দোকান নিমার্ণ করার মাধ্যমে কার্ড বানিজ্যের নেপথ্যে পর্যটন সেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কথা জানালেন এই কর্মজীবিরা।

সুগন্ধা পয়েন্টে বালিয়াড়িতে ভ্রাম্যমান দোকান নির্মাণের কোন ধরনের অনুমতি দেয়া হয়নি। অবৈধ দখলদারদারে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ দখল উচ্ছেদ করার কথা জানালেন বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।

নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি

You might also like