করোনায় আক্রান্ত হতে পারে বাংলা নববর্ষের উৎসব উৎযাপন

১৩৫

ধুলোবালির মতো আতঙ্ক চারপাশকে ভারী করে তুলেছে। মানুষের আনন্দ উধাও হয়ে গেছে। সবখানে বিরান বিষাদ। পাঠশালা বন্ধ। যেখানে পাখির মতো কলকাকলি লেগে থাকতো সেখানে ঝুম শূন্যতা।

নেহাতি রুটিরুজির জন্য মানুষ ঘর ছেড়েছে। সেই পথে নেমেছে চৈত্র। চৈত্র দিনের গান কারো ঠোঁটে লেগে নেই। হাসির ফোয়ারা নেই। একরাশ ভয়।

প্রকৃতিতে এখন ফুলের মরসুম। আলোতে বসন্ত উজ্জ্বলতা। ফাগুনের দিনগুলোতে বাতাসে ঋতুরাজের উচ্ছ্বাস থাকলেও এবারের চৈত্র বয়ে এনেছে ভয় আর বিষাদবার্তা। সারা পৃথিবী ঘুরে করোনাভাইরাস এই ষড়ঋতুর দেশে আঘাত হেনেছে। আতংক ছড়িয়ে দিয়েছে মানুষে-মানুষে।

জরুরি দরকার ছাড়া মানুষ ঘরের গণ্ডি পেরুচ্ছে না। একটু অসতর্ক হলেই আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকছে। তাই মানুষ বাড়তি সতর্কতা হিসেবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে। সঙ্গনিরোধ থাকাটাই এই ঝুকি থেকে বাঁচার মূল শর্ত।

কিন্তু উৎসব প্রাণ বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ দুয়ারে কড়া নাড়ছে। যে উৎসবে শহুরে বাঙালি আনন্দের ব্যাপক প্রস্তুতি নিতো। সেই নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতির আনন্দ থমকে গেছে। যে চৈত্রদিনে গ্রামগঞ্জে মেলা বসতো সেখানেও আতংক।

প্রকৃতিতে বসন্তের রঙ ফিকে না হলেও মানুষের ভয় তার চোখকে বিস্বাদময় করে ফেলছে। সবাই খুঁজে ফিরছে বেঁচে থাকার গান। এই মানবিক বিপর্যয়ে মানুষ নিজেকে সতর্ক রাখুক। নিজের জীবনাচরণে শৃঙ্খলা ফিরে আনুক।

ভয়কে জয় করে করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে সকল সতর্কতা মানুষ আমলে নিলেই প্রকৃতির উৎসবে বিষাদ আর ভয় মুছে গিয়ে আসবে আনন্দধারা।

সব কিছু থমকে গেছে। কিন্তু মনের মনবল ও সতর্কতা মানুষকে করুক সুসংগঠিত। আরও পরিশীলিত। সবাই মিলে সচেতন হয়ে প্রতিরোধ করুক কোভিড ১৯। বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য প্রার্থনা। মানুষ বাঁচুক নির্ভয়ে জীবনের জয়গানে।

অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি