কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য: শিক্ষামন্ত্রী

১২

সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া কন্যাশিশুর শিক্ষা, বাল্যবিয়ে নির্মূলসহ নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য নিরসনে আইন প্রণয়ন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তাদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগসহ তথ্য প্রযুক্তিতে নারীর পেশাগত জ্ঞান ও মেধা প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে কোভিড মহামারি সময়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে নারীরা নিজেদের কর্মসংস্থান করতে পারছেন। জয়িতা ফাউন্ডেশনের অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘ই-জয়িতা’ চালু করা হয়েছে। এর ফলে দেশে এক লাখ নারী উদ্যোক্তা সংযুক্ত হতে পারবে। উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারে এখন ৩ হাজার ১৬০ জন নারী উদ্যোক্তা ই-তথ্য সেবা দিচ্ছেন। জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪টি জেলায় নারীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ‘তথ্য আপা’ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে থাকবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই পরিবেশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বিশ্বের সব উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে উড়বে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।’

শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশে নারীর অগ্রযাত্রার পরিসংখ্যান তুলে ধরে দীপু মনি জানান, ব্যানবেইসের বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী ৫৫ দশমিক ০৭ শতাংশ নারী। উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে। মাদ্রাসা শিক্ষাপর্যায়ে মোট ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী।

You might also like