কাজী রোজীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির শোক

১৩

বিশিষ্ট কবি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবিতার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় থাকবে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অপর এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, কাজী রোজী তার লেখনীর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন। একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

রাষ্ট্রপতি কাজী রোজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। গত শতাব্দির ষাটের দশকে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন কাজী রোজী। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- ‘লড়াই’, ‘পথঘাট মানুষের নাম’, ‘আমার পিরানের কোনো মাপ নেই’ প্রভৃতি। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।

কবিতা চর্চা ছাড়াও তিনি সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদফরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। পরে রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।