কালকিনিতে মাশরুম চাষে নতুন সম্ভাবনা

১৫

কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল এলাকার কামরুল হাসান। জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রবাসে থাকলেও একসময় দেশে চলে আসেন তিনি। প্রথমে স্থানীয়দের পরামর্শে মুরগির খামার তৈরি করলেও পরে সেই জায়গাতেই শুরু করেন মাশরুম চাষ।

একটি প্রশিক্ষণ সেন্টারে মাত্র ১০ দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতেই মাশরুমের খামারটি প্রতিষ্ঠা করেন কামরুল হাসান। বর্তমানে তার সাফল্য দেখে স্থানীয় বেকার যুবকসহ অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ মাশরুম চাষে।

কালকিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, সহজ শর্তে ব্যাংক লোনের মাধ্যমে বেকার যুবকদের মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে একদিকে নিজেরা হবেন সাবলম্বী অন্যদিকে কমবে পণ্যটির আমদানিও।

মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম উৎপাদন হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের মতে, আমাদের দেশের কৃষিতে মাশরুম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এর মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হতে পারে বহু বেকারের কর্মসংস্থান।

You might also like