কুমারখালীর খাদ্য গুদাম যেন দূর্নীতির গুদামে পরিনত
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি চাউলে নিম্ন মানের পঁচা,ছত্রাকযুক্ত,দুর্গন্ধযুক্ত চাউল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে কুমারখালী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) জামশেদ ইকবালের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বিভিন্ন ডিলার পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পঁচা,ছত্রাকযুক্ত,দুর্গন্ধযুযুক্ত মাছি চাউল বিতরণ করা হচ্ছে,শুধু তাই নয় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল ৩০ কেজি করে পাটের বস্তায় থাকার নিয়ম থাকলেও সে গুলো এখন ৫০ কেজির বস্তা হয়ে গেছে,৫০ কেজির চাউলের বস্তা ওজন করে ৩/৪ কেজি চাউল কম পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আওতায় ১০ টাকা কেজির যে চাউলের বস্তা ও ওজন পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই ডিলাররাও ভুক্তভোগীদের ৩০ কেজি চাউলের জায়গায় ২৮ কেজি দিচ্ছে।
গত বছর ২৮ ডিসেম্বর এই একই অভিযোগে কুমারখালী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালের বিরুদ্ধে ভি,জি,ডির চাউল সরবরাহে অনিয়মের খবর জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হলেও তার বিরুদ্ধে কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কতৃপক্ষ।
এবিষয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। পরে তিনি সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।
এবিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি নিজে পরিদর্শন প্রাথমিকভাবে সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখন থেকে গুদাম থেকে ভাল চাউল ও সঠিক পরিমান বুঝে পেয়ে ডিলাররা একটা প্রত্যয়ন দেবে। যদি কোন ডিলার প্রত্যয়ন না দেই আর আগের মতই সব চলতে থাকে তাহলে ওসি-এলএসডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।