কুমিল্লায় মাদ্রাসাগুলোতে উপেক্ষিত শহীদ মিনার

১১

ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছরেও, ভাষা শহিদদের স্মরণে কুমিল্লার অধিকাংশ মাদ্রাসায় নির্মিত হয়নি কোনো শহিদ মিনার কিংবা স্মৃতি চিহ্ন। হাতে গোনা যে কয়টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার রয়েছে সেগুলোও আছে অযত্ন-অবহেলায়।

জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিলসহ মোট ৩৮১টি মাদ্রাসা রয়েছে। তার মধ্যে দাখিল মাদ্রাসা ২৩১টি, আলিম ৭৭টি, ফাজিল ৬২টি এবং ১১টি কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে শহিদ মিনার আছে মাত্র ৬৪টি প্রতিষ্ঠানে।

এছাড়াও কুমিল্লা মহানগরী এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠেছে প্রায় দুই শতাধিক ছোট-বড় মাদ্রাসা। সেগুলোতেও নেই কোনো শহিদ মিনার বা স্মৃতি চিহ্ন। ফলে ভাষা দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা না জানাতে পেরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষক ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানান, জ্ঞানের গভীরতা কম থাকায় অনেকেরই ধারণা শহিদ মিনারে ফুল দেয়া মূর্তি পূজার সামিল। এ সকল ভ্রান্ত ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

এ বিষয়ে কথা বললে কুমিল্লা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রোকসানা ফেরদৌস জানায়, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। দ্রুতই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মাদ্রাসাগুলোতে শহিদ মিনার নির্মাণ করার কথা জানান।