চট্টগ্রাম কাস্টমসের ১৫ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা
রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাস ও প্রায় ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শনিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা তিনটি দায়ের করেন। মামলায় ১৫ কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক ও কাস্টমসে অনুপ্রবেশকারীদের আসামি করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় আসামিরা হলেন, সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু (৫৩), গ্রাহক মো. আব্দুল গোফরান, হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর মো. জহুরুল ইসলাম, গ্রাহক আবুল কালাম, মেসার্স জারার এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান, কাস্টম হাউজের প্রাক্তন রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, প্রাক্তন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার জনি, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম, অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
অপর মামলায় আসামি করা হয়, মুভিং ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল হান্নান দেওয়ান, সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু, আব্দুল গোফরান, হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর জহুল ইসলাম, কাস্টম হাউসের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম, অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান চাকলাদার ও মফিজুল ইসলাম লিটন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ‘কমিশনের অনুমতিক্রমে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।’
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিভিন্ন সময় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পণ্য খালাস করেছে যার মূল্য শুল্ক সহ ১০৪ কোটি টাকার অধিক।