ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বাহিনীটির সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালত রুবেল হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আনসারকে।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে যাওয়া মাত্রই নিরাপত্তার সব দায়িত্ব ছেড়ে নিজেদের জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে পুলিশ। বিকাল ৩টার পর থেকে শুরু হয় থানায় থানায় দুর্বৃত্তদের হামলা। জীবন বাঁচাতে থানায় অবস্থানরত পুলিশরা যখন অসহায়, তখন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের খোঁজ মেলেনি। বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ সদর দফতর থেকে শুরু করে প্রায়ই প্রতিটি থানাই হামলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ৫১টি থানার মধ্যে ৪টি বাদে সব থানাই কম-বেশি আক্রান্ত হয়েছে। হামলা ঠেকাতে ও নিজেরা জীবন বাঁচাতে থানায় অবস্থান করা পুলিশ সদস্যরা ছুড়েছেন নির্বিচারে গুলি। এতে হতাহতও বেড়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল থেকে একের পর এক ম্যাসেজ আসতে থাকে ডিএমপি সদর দফতরে। কিন্তু কোনও থানাতেই নিরাপত্তা দিতে পারেনি পুলিশ। অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তার মোবাইল খোলা পাওয়া গেলেও কারও সাড়া মেলেনি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানার সামনের সড়ক থেকে শুরু করে কম্পাউন্ডের ভেতরের প্রতিটি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। থানার গেট ভাঙা। থানার ভেতরে প্রবেশ করতেই লাঠি হাতে এক যুবকের দেখা মিললো। জানালেন, তার নাম রুহুল আমিন। পেশায় মাছের বাজারের কর্মচারী।
তিনি বলেন, লোকজন থানার মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেখে আমি দেখে রাখছি। অনেকেই গাড়ির বিভিন্ন অংশ নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি চেষ্টা করছি যতটা রক্ষা করা যায়।