ডাচ্-বাংলার টাকা ছিনতাই : আরও ৩ আসামির দায় স্বীকার
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আরও তিন আসামি।
দায় স্বীকার করা আসামিরা হলো- ইমন ওরফে মিলন, বদরুল আলম ও সানোয়ার হোসেন। তারা তিনজনই ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) আদালতে ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
এর আগে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আসামিরা দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ আহম্মেদ বাবুলসহ চারজন ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী ও ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়া অপর তিনজন হলো- মিজানুর রহমান, সোনা মিয়া ও সাগর মাতুব্বর।
এর আগে, ১২ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকা থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই হয়।
ঘটনার দিন রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলা করেন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, একটি সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়িতে ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা সাভার ইপিজেডের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথে রাখার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে ৯ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানায় ডিবি পুলিশ। পরে টাকা গণনা করে পাওয়া যায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।