ঢাকা থেকে পাচার হওয়া দুই তরুণীয় আটক
ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর শহর থেকে দুই বাংলাদেশী যুবতীসহ এক সন্দেহভাজন নারীকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
সোমবার (১১এপ্রিল) ধর্মনগর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রাজবাড়ী ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় তিন নারীর গতিবিধি দেখে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সন্দেহ হয়। তখন তারা ধর্মনগর মহিলা থানায় খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে নারী সদস্যরা ঐ এলাকায় পৌঁছে তিনজনকে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা সৌম্য দেববর্মা।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে তিন জনের মধ্যে দুই জন বাংলাদেশি। তাদের নাম সাজেদা খাতুন (২৪) এবং কাজুলী আক্তার (২৪)। তারা ঢাকায় থাকতেন এবং কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন। অপর নারীর নাম নার্গিস আক্তার, তার বাড়ি ত্রিপুরার গোমতী জেলার উদয়পুরে। এই মহিলাকে ঘিরে পুলিশের সন্দেহ।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ আর জানতে পেরেছে দুই বাংলাদেশি ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বিলোনীয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছেন। তাদের ত্রিপুরায় নিয়ে আসার জন্য বিলোনীয়ার আমজাদ নগরের আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি সাহায্য করেছেন। বিলোনীয়াতে তিনদিন থাকার পর তাদের নার্গিস আক্তারের হাতে তুলে দেন আব্দুল্লাহ। বলা হয় ভাল কাজ দেওয়ার জন্য নার্গিস তাদের গৌহাটি নিয়ে যাবে। সেই অনুযায়ী রোববার (১০ এপ্রিল) নার্গিস বিলোনীয়া থেকে তাদের নিয়ে ট্রেনে করে প্রথমে আগরতলা ও তারপর ধর্মনগর পৌঁছান। রাতে ধর্মনগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি হোটেলে থাকেন তারা। সোমবার (১১ এপ্রিল) রাতের বাসে করে গৌহাটির উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেওয়ার কথাও ছিল তাদের। সেজন্য রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনালে যাওয়ার পথে আটক করা হয় তাদের।
আগরতলা থেকে সরাসরি গৌহাটি পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা থাকার পরও কেন অপেক্ষাকৃত কষ্টকর ৪২০কি.মি. বেশি পথ রাতের বাসে করে যাচ্ছিল, কোথায় ও কী কাজ দেওয়া হবে- তার কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি আটককৃতদের কাছ থেকে।
এ কারণে সন্দেহ করা হচ্ছে এই দুই যুবতী হয়তো আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের শিকার হয়েছিলেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।