নাটোরে শুরু হয়েছে নবান্নের ধান কাটা, কৃষকের ঘরে ঘরে এখন নবান্নের আনন্দ

নবান্ন মানেই উৎসব, নবান্ন মানেই নতুন ধান ঘরে তোলা। আর তাই নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে নবান্নের ধান কাটা। কৃষকের ঘরে বিরাজ করছে নবান্নের আনন্দ। তবে সেই আনন্দের সাথে বাজারে ধানেরন্যায্য মূল্য পেলে বজায় থাকবে সেই আনন্দ।

১৫৬

মাঠে মাঠে ভরে আছে সোনার ধান, আনন্দেতে ধান কাটে চাষীরা সবাই। মাঠ ভরা সোনালিধান। আর ধানের গন্ধই বলে দিচ্ছে বাঙ্গালির দুয়ারে এসছে নবান্নের উৎসব। সামনে আর কয়েকদিন পরেই অগ্রহায়ন মাস, নবান্নের মাস। নতুন ধান ঘরে তোলার দিন। হেমন্তের এমন দিনে কৃষকের তৃপ্তির হাসি ঋদ্ধ করবে অগ্রহায়নকে।পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে ফলানো ধান আর কয়েকদিন বাদেই কেটে ঘরে তুলবেন কৃষক। সেইধান থেকেই তৈরি হবে নানান রকমের পিঠা পুলিক্ষির পায়েশসহ নানা রকমের খাবার।তারই মাধ্য দিয়ে শুরু হবে বাঙ্গালির নবান্নের উৎসব। এরইমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াই করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে আগামীসপ্তাহ থেকে পুরো দমে এ ধান কাটা শুরু হবে। নতুন ধান ঘরে তোলা নিয়ে যেনো দম ফেলার সময় নেই কৃষক ও বাড়ীর গৃহীনিদের।

একদিকে যেমন নতুন ধান ঘরে তোলা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যস্ততা, তেমনি অপরদিকে চলছে নবান্ন উৎসবের জন্য প্রস্তুতি। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে চলবে নবান্নের উৎসব। স্বজনে উৎসব মূখর পরিবেশে। তবে ন্যায্য মূল্যের চিন্তা কৃষকের মুখের নবান্ননের এই হাসিকে যেনো কেরে নিচ্ছে । কৃষক যেনো প্রতি বছরই বিভিন্ন ফসলে ক্ষতি গ্রস্থ হতে হতে দিন দিন আবাদ ফসল চাষাবাদের দিকে তাদের আগ্রহটা কমে যাচ্ছে। তাই কৃষকের মুখের হাসি ধরে রাখতে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরনের দাবি জানান সরকারের কাছে।

কৃষি কর্মকর্তা জানালেন, দেশে এবার প্রচুর পরিমানে নবান্নের এই রোমা আমন ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত অনূকুলে থাকায় কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়াই রোগব্যাধির হাত থেকে মুক্ত হয়ে লক্ষমাত্রা পূরনে সক্ষম হওয়ার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।

জেলার ৭টি উপজেলায় রোপা-আমন ধানের নির্ধারিত লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ৬৫ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধানের চাষ হয়েছে। আর বাজারে ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকের মুখে বজায় থাকবে এ নবান্নের হাসি। এমনটা প্রত্যাশা এ অঞ্চলের কৃষকদের।

নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি

You might also like