নারীর ক্ষমতায়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সহিংসতার প্রতিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যে কোন পরিস্থিতিতেই বিচার ব্যবস্থাসহ সকল সেবা ব্যবস্থা সক্রিয় রাখা অপরিহার্য। এছাড়া নারীরা, বিশেষত যারা মহামারির সময়ে পারিবারিক এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের সহায়তা প্রদানের উপায় বের করা খুবই জরুরি।
মঙ্গলবার একটি হোটেলে বাংলাদেশে জার্মান উন্নয়ন সংস্থার ৫০ বছর উদযাপন এবং ‘ইন সার্চ অভ জাস্টিস: আনটোল্ড টেলস অভ ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সারভাইভারস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ২০০০; পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ ও পারিবারিক সহিংসতা বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার চালু হয়েছে এবং একটি ব্যাপক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
আনিসুল হক বলেন, ২০২২ সাল একটি বিশেষ বছর কারণ বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি একটি। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের জন্য জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে জার্মানি একটি প্রধান অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশটি আমাদের অগ্রাধিকার খাত যেমন প্রশাসন, জলবায়ু, জ্বালানি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে।