নির্বাচন বয়কট করবো না, শেষ পর্যন্ত নির্বচনে থাকবো: ড. কামাল
শনিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করা হবে না ।
কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘এ সরকারের আমলে বিচার বিভাগের ওপর আঘাত এসেছে, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ হচ্ছে, নিম্ন আদালতের দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে দেওয়া হচ্ছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ষোড়শ সংশোধনীর রায় দেওয়া নিয়ে শাস্তি পেতে হয়েছে। সাতজন বিচারপতি ওই রায়ের স্বাক্ষর করেছে, কিন্তু একজনকে শাস্তি পেতে হলো।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়াই ১৫৪ জনকে সংসদ সদস্য করা হয়েছে। এ নিয়ে আবার গেজেট প্রকাশ করাও হয়েছে। আমি মনে করি এই গেজেট করে তারা প্রেসের কাগজ নষ্ট করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ওরা যতই দশনম্বরি করুক আমরা সকলে ভোট দিতে যাবো। হাজার হাজার মানুষ ভোট দিতে যাবে। দেশের সকল ভোটারকে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। কেউ যাতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে প্রার্থী না হয়, টাকা দিয়ে ভোট কিনে মেম্বার হয়েছে কিনা, তা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করতে হবে। আমাদের জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে আমরাই সকল ক্ষমতার উৎস, আমরাই দেশের প্রকৃত মালিক।’
উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেন, ‘আপনারা এই অনুষ্ঠান শেষে জেলার আইনজীবীর সমিতিগুলোকে এই সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সময় খুবই কম। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দেওয়ার কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও পাঁচ বছরেও সে নির্বাচন হয়নি। এই পাঁচ বছরে আমরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সংবিধানের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র। কিন্তু এই পাঁচ বছরে কি আমরা সে গণতন্ত্র দেখতে পেয়েছি? নির্বাচন দেবে বলে তারা ভাওতাবাজি করেছে। ভাওতাবাজিতে পুরস্কার পদ্ধতি থাকলে তারা মেডেল পাওয়ার যোগ্য হতো।’
খালেদা জিয়ার রায়ের প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি খুব জোর গলায় বলতে পারি, সম্পূর্ণ সরকারি চাপের মুখে খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমি আজ দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এই ব্যবস্থার পরিবর্তন হতে হবে। বিচার বিচারের মতো হতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় যেন কোনও ব্যক্তির বিচার না করা হয় সেজন্য আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।’
এ সময় জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান ছাড়াও দেশের ৫৪টি জেলার আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি