নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু

১৩

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্বচরবাটা গ্রামের কালা মসজিদ এলাকা থেকে চরজব্বার থানা পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন- হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরফকিরা গ্রামের নেছার উদ্দিনের স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৩৫) ও তার তিন বছরের শিশু ছেলে ইয়াছিন। কোহিনুর পূর্বচরবাটা গ্রামে খায়রুল হাসান ওরফে জমিদার শাহিনের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার পর কোহিনুর তার ছেলেকে কোলে নিয়ে পাশের বাড়ি যান। কিন্তু দুপুর ২টা পর্যন্তও সে বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের একটি বাগানে কোহিনুর ও তার ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে দেখতে পায় পল্লী বিদ্যুতের একটি তারে জড়িয়ে আছেন মা ও ছেলে।

পরে স্থানীয়রা চরজব্বার থানায় খবর দিলে পুলিশ বিকেলে এসে স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ানের মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি চরজব্বার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ সুবর্ণচর কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ ও গাছের ঢাল পড়ে তার ছিঁড়ে যায়। রাত থেকে তারা বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছে। কিন্তু পূর্ব চরবাটায় তার ছিঁড়ে যাওয়ার বিষয়টি তাদের কেউ অবহিত করেনি।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মা-ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বর্তমানে সেখানে বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে, তাছাড়া নিরাপত্তাজনিত কারণে কর্মীরা সেখানে কাজ করতে যাচ্ছে না। ঘটনা স্বাভাবিক হলে সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।

চরজব্বার ভূঞারহাট ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ্ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পল্লী বিদ্যুতের একটি ছেঁড়া তারে জড়িয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

You might also like