পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এ বছর করোনার বিধিনিষেধের কড়াকড়ি না থাকায় বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী মাস্ক ছাড়া হজে যোগ দিয়েছেন।

এরইমধ্যে মক্কা থেকে হজযাত্রীরা যাত্রা শুরু করেছেন তাবুর শহর হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক মিনায়। বুধবার (৬ জুলাই) তারা পবিত্র মক্কায় ক্বাবা শরিফ তাওয়াফ করেন। এর মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে গেছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।

বুধবার রাত থেকেই মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন হজযাত্রীরা। অনেকে এরইমধ্যে পৌঁছে গেছেন। বাকিরা আজ সেখানে সমবেত হবেন।

মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। এরপর শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায় করে তারা রওনা দেবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে।

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা চলে ৫ দিন ধরে। তার মধ্যে আরাফাতের দিবসকে ধরা হয় মূল হজ হিসেবে। এদিন ভোর থেকেই মিনা থেকে হজযাত্রীরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। তাদের সমস্বরে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের আকাশ বাতাস।

ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন তারা। দুপুরে হজের খুৎবা শুনবেন। তারপর এক আজানে হবে জুমা ও আসরের নামাজ। সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন মুজদালিফার উদ্দেশে। সেখানে আবার তারা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ।

তারপর জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন তারা। রাতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। তারপর শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের পর পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কুরবানি করবেন। কুরবানি করে মাথা মুণ্ডন করবেন। এহরাম খুলে পরবেন সাধারণ পোশাক। আবার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ (চক্কর) দেবেন। এরপর আবার ফিরে যাবেন মিনায়।

You might also like