ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি বাড়ল ৩৪ শতাংশ
করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কা সামলে সামগ্রিক রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, গেল ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলার; আগের বছরের ফেব্রুয়ারিতে যা ৩১৯ কোটি ডলার ছিল।
এর মধ্য দিয়ে টানা ষষ্ঠ মাসের মত বাংলাদেশের রপ্তানি আয় চার বিলিয়ন ডলারের উপরে থাকল।
পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, “প্রবৃদ্ধিতে আমরা সঠিক পথেই রয়েছি। ফেব্রুয়ারি ২৮ দিনের মাস হওয়ায় আগের মাসের তুলনায় রপ্তানি কিছুটা কমলেও পরবর্তী মাসে আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।”
বুধবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৩৩৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
রপ্তানির এই পরিমাণ গতবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ১৬ শতাংশ বেশি।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২৫৮৬ কোটি ২৩ লাখ ডলারের পণ্য। আর এ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ২৯০৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল।
সেই হিসাবে আট মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ এগিয়ে আছে রপ্তানি খাত।
আর গত আট মাসের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের সুখবরটিও এসেছে এই ২৮ দিনের ফেব্রুয়ারি মাসে।
এর আগে অক্টোবর মাসে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, ডিসেম্বর মাসে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, জানুয়ারি মাসে ৪৮৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
বিজিএমইএ নেতা শহিদুল্লাহ বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাস ছোট হওয়ার কারণে চার কর্মদিবস রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি। দৈনিক ১২০ মিলিয়ন ডলার হিসাব করলে এই চার দিনে আরও অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ডলার বেশি আয় পাওয়া যেত।”
নিট ও উভেন পণ্য রপ্তানি করে এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ২৭৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এর মধ্যে ১৫০৭ কোটি ডলারের নিট পণ্য রপ্তানি করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ শতাংশ। আর ১২৪৩ কোটি ডলারে উভেন পণ্য রপ্তানি করে ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের ৮১ থেকে ৮২ শতাংশ আসে পোশাকপণ্য থেকে। পোশাকখাতের পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৯ কোটি ডলারের হোম টেক্সাটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে।
পাশাপাশি ৮৫ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য, ৭৯ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ৭৮ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে।