বাবার লেখা নাটক দেখে মুগ্ধ পুত্র নুহাশ হুমায়ূন

১৬০

এমন বাংলা নাটক এই সময়ের নতুন প্রজন্মের কোন দর্শক দেখেননি। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বহুব্রীহি নাটকটি যদি অনলাইনে একটু ঢুঁ মেরে দেখে নেন, বুঝে যাবেন বাংলা নাটকের শ্রেষ্ঠত্ব আর আছে কি নেই।

এখনকার সময়ের নাটকে পরিবার থাকেনা। থাকে দুটি চরিত্র। নায়ক-নায়িকা আর তাদের সম্পর্ক। সংশ্লিষ্টরা বলেন, এমন গল্পের জোয়ারে ভাঁটা পড়েছে বাংলা নাটকের বিকাশ।

আশির দশকে দেশে যখন সামরিক শাসন চলে। সেই সময়ে পাখির মুখ দিয়ে বলানো ‘তুই রাজাকার’ সংলাপটির পর আর কোন নাটকের সংলাপ দর্শক কি মনে রাখতে পেরেছে?

মুনা কিংবা বাকের ভাইকে কে না মনে রেখেছে। হুমায়ূনের কোথাও কেউ নেই নাটকের জীবন্ত চরিত্র তারা। মাস্তান অথচ তুমুল মানবিক চরিত্র বাকের ভাইয়ের ফাঁসির দৃশ্য টেলিভিশনে দেখানোয় রাস্তায় নেমেছিল ক্ষোভের মিছিল।

করোভাইরাসের কবলে ঘরবন্দি দর্শকদের একঘেয়েমি কাটাতে প্রতিদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর ‘কোথাও কেউ নেই’ ও রাত ৯টায় ‘বহুব্রীহি’র প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন।

বাবার সৃষ্টিকর্মগুলো এখনও জীবন্ত। সেগুলো আমাদের স্বস্তি দিচ্ছে, অনুপ্রাণিত করছে। তোমার কথাই ভাবছি, বাবা। হুমায়ূনের নন্দিত এ দুটি ধারাবাহিক টেলিভিশনের পর্দায় দেখে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা এই প্রতিক্রিয়া জানান হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন।

শুধুই কি বহুব্রীহি আর কোথাও কেউ নেই? হুমায়ূনের হাতে বাংলা নাটক পেয়েছিল এক নতুন গতি। করোনার ঘরবন্দি দিনগুলিতে হুমায়ুনের নাটকগুলো ছড়িয়ে দিক ভাবনা, নতুন নির্মাতাদের জন্য হুমায়ূন হোক ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি।

অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি

You might also like