বিমা নিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

৩৫

বিমা মানে আমানত উল্লেখ করে গ্রাহক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বলেন, কেউ যেন তার প্রাপ্য চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার না হয়। বিমা নিয়ে বিভিন্ন হয়রানি হয়, এসব বন্ধ করতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় বিমা দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের মতো বিমা ব্যবস্থা আমাদের দেশেও চালু হোক, সেটাই আমরা চাই। আমাদের সরকার বেশ কয়েকটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অনুমতি দিয়েছে, এগুলো আরও কার্যকর করতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিমাও চালু করতে চাই। এজন্য কাজ শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী আমরা সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছি। এতে সবার জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হবে।

বিমা সেবাকে জনপ্রিয় করাসহ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সেবা যদি মানুষ হাতের কাছে পায় তাহলে অনেকেই তার বীমা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারে। সে জন্য সরকারি বেসরকারি বীমা কোম্পানি গুলোকে এক সাথে কাজ করতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, অন্তত আমি এইটুকু বলতে পারি আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা কিন্তু বেসরকারিখাতে অনেক বীমা কোম্পানি দিয়েছি। তাতে যেমন অনেকের ব্যবসা করারও সুযোগ হয়েছে। বীমা ব্যবসায় যেমন সবাই সম্পৃক্ত হয়েছে পাশা পাশি আমাদের দেশের অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তিনি যে কাজই করেন না কেন সব সময় জনগণের কর্মসংস্থানের বিষয়টি তাঁর মাথায় থাকে । এ জন্যই তিনি প্রথমবার ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এই উন্মুক্ত করে দেয়ার একটাই উদ্দেশ হলো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং সেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে।