বুচার রাস্তায় বিধ্বস্ত ট্যাংকের সারি, গণকবরে ৩০০ মরদেহ

১৩

কিয়েভ শহর ঘেরাও করে রেখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় বুচা শহর অতিক্রম করছিল রুশ বাহিনী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর দুই-তিন দিন পরের কথা।

ইউক্রেনীয় বাহিনী বুচা শহরের মধ্য দিয়ে কিয়েভ শহরের দিকে যাওয়া রুশ ট্যাঙ্ক এবং সামরিক সদস্যদের বহন করা গাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরপর রুশ বাহিনীর তাণ্ডবে বুচা শহরের রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে মানুষের দেহ।

পচা দুর্গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে গেছে সেখানকার। প্রায় জনমানবহীন শহরটির রাস্তায় শুধু মানুষের মরদেহ এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া ট্যাঙ্কার পড়ে আছে। চারিদিকে গোলাবারুদের দগদগে ক্ষত।

উক্রেনের বুচা শহরের একটি গণকবরেই প্রায় ৩০০ জনকে সমাহিত করা হয়েছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই শহরটি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী পুনর্দখল করার পর এই তথ্য সামনে এসেছে।

বুচার মেয়রের বরাত দিয়ে রোববার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে বুচা শহরটি অবস্থিত এবং কিয়েভে প্রবেশ করতে হলে শহরটি পার করতে হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুচা শহরের মেয়র আনাতোলি ফেডোরুক শনিবার ফোনে বার্তাসংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, ‘বুচায় আমরা ইতোমধ্যেই ২৮০ জনকে গণকবরে দাফন করেছি। ব্যাপকভাবে ধ্বংস হওয়া শহরের রাস্তাগুলো মরদেহে ছেয়ে গেছে।’

ফেডোরুক বলেন, ‘নিহত এই সকল মানুষকেই মাথার পেছনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ এবং এমনকি ১৪ বছর বয়সী একটি কিশোরও রয়েছে।’

এদিকে মেয়র আনাতোলি ফেডোরুক আলজাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন যে, বুচার রাস্তায় তিনি কমপক্ষে ২২টি মরদেহ দেখেছেন। তিনি বলছেন, সবগুলো মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি কারণ রাশিয়ার সামরিক বাহিনী মৃতদেহগুলোকে বুবি-ফাঁদে ফেলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুবি-ফাঁদ মূলত একটি লুকানো বিস্ফোরক যন্ত্র যা কিছু নিরীহ চেহারার বস্তুকে স্পর্শ করলে বিস্ফোরিত হয়ে যায়।