ভিন্ন আঙ্গিকে বাংলা নববর্ষ বরণ

১১৯

চিরায়ত নিয়মে নয়, ভিন্ন আঙ্গিকে ডিজিটাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবার বাংলা নতুন বছর বরণ করে নেয়া হয়েছে।

এবার ঢাকার রমনা বটমূলে গাওয়া হয়নি সম্মিলিত কণ্ঠে বৈশাখের আবাহনী গান- এসো হে বৈশাখ এসো-এসো। বর্ষবরণের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠা বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রাও এবার বের হয়নি। নগরীর কোথাও ছিলনা পান্তা ভাতের আয়োজন।

বাঙালির উৎসবের এই দিনটি এবার এসেছে নজিরবিহীন এক সঙ্কটের মধ্যে। বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করা নভেল করোনাভাইরাস বাঙালিকেও ঘরে থাকতে বাধ্য করছে।

এর আগে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পহেলা বৈশাখের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। সারাদেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। এটা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

আর এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যেই আজ পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হয়েছে নতুন বছর ১৪২৭।

আজ ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দিয়েছে যে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে স্বাভাবিক ভাবেই সে স্বপ্ন, করোনাভাইরাস মুক্ত নতুন বিশ্ব নতুন বালাদেশ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাঙ্গালি করোনা মহামারি থেকে সহসা মুক্তির প্রত্যাশা নিয়েই আজ নতুন বছরকে বরণ করে নেয় তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই।

তবে বাঙালির বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রতীক হয়ে ওঠা রমনা বটমূলের বদলে ছায়ানট এবার বৈশাখের প্রথম প্রভাতে হাজির হয় ডিজিটাল আয়োজন নিয়ে। মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বিটিভিসহ বিভিন্ন টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের এ আয়োজন।

নতুন বঙ্গাব্দের প্রভাতে এই সঙ্কট থেকে উত্তরণে মানবকল্যাণের পথ সন্ধানে ঐকান্তিক মিলনের ডাক দেয়া হয় ছায়ানটের এ আয়োজন থেকে।

অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি

You might also like