যশোরে আফজাল হত্যা মিশনে থাকা পলাশ আটক

১৩

যশোরে আফজাল হত্যায় ১০ জনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৬)। তাদের মধ্যে পলাশ নামে এক যুবককে বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে আটক করা হয়েছে।

আটক পলাশ শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। র‌্যাব পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করেছে।

রাতে র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লে. এম নাজিউর রহমান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আফজাল হত্যাকাণ্ডের পর র‌্যাবের সদস্যরা আসামি আটকের জন্য তৎপর হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পলাশকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামি ট্যারা সুজনের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড বলে পলাশ প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে এই হত্যার পেছনের আর কারা ছিলো সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। হত্যা মিশনের থাকা অন্তত ১০ জনের নাম পলাশ র‌্যাবকে জানিয়েছে। সে মোতাবেক বাকি আসামি আটকের জন্য র‌্যাব অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

পলাশের স্বীকারোক্তি মোতাবেক আফজাল হত্যা মিশনে থাকা অন্যান্যরা হলেন- নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার ট্যারা সুজন, হামিদপুর ময়লাখানার মিলন, শংকরপুরের বিপ্লব ও রবি, সিটি কলেজপাড়া বৌবাজার মোড়ের শুভ, বারান্দীপাড়ার শুকুর আলী, বকচর এলাকার জাহিদ, আল-আমিন মসজিদের পেছনের জাহিদ ও সাকিব, মোল্যাপাড়ার সিজানসহ আরও ৭জন।

প্রসঙ্গত, ২৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ের সিটি মডেল একাডেমির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ওই এলাকার সলেমানের ছেলে আফজালকে (২৮)। এই হত্যাকাণ্ডের রেশ ধরে গত (৩০ মে) যশোর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। দুটি ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা চলছে।