রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্র হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় স্কুলছাত্র নাহিদ হাসান মৃদুল (১৭) হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি উজির আলী শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রুবেল মন্ডল(২১)। তিনি এই হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছালাম মন্ডলের ছেলে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সদর উপজেলার কামালদিয়াকান্দি গ্রামের খলিল মন্ডলের ছেলে রাফিজুল মন্ডল (২৬), বড়মুরারীপুর গ্রামের হান্নান সরদারের ছেলে পিয়ারুল (২১), কালুখালী উপজেলার বাস্তেখোলা গ্রামের মো. মাছেমের ছেলে রায়হান (২১) ও রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের টাবলুর ছেলে পিয়াল (২০)। এছাড়াও এলেম (২২) ও ফরিদ (২৭) নামে দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

নিহত মৃদুল রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের আগমারাই গ্রামের আব্দুল মোমিন মোল্লার ছেলে ও রাজবাড়ী ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৯ জুন দুপুরের দিকে কয়েক নাহিদ হাসান মৃদুলকে স্কুলের গেটের সামনে থেকে ডেকে রেললাইনের ক্যারেজের পেছনে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দুদিন পর একই বছরের ২১ জুন নিহতের বাবা আব্দুল মোমিন মোল্লা বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও কাগজপত্র পর্যালোচনা শেষে এ রায় দেন। মামলার এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামি এলেম এবং ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি উজির আলী শেখ বলেন, স্কুলছাত্র মৃদুল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নেকবর হোসেন মণি বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট না। আমরা রায়ের বিপরীতে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

You might also like