রোহান হত্যাকাণ্ড: প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার

২২

সাভারে আলোচিত রোহান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তারা পলাতক ছিল। এই নিয়ে মোট ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হল।

সোমবার সকালে তাদের ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ভোর রাতে সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সাভারের বনপুকুর এলাকার মহিদুলের ছেলে আসিফ (১৬) ও কোটপাড়ার মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের ছেলে খোরশেদ(১৪)। এর আগে একই মামলার অপর ৮ আসামি ঘোড়াদিয়া মল্লিকেরটেক এলাকার ঝন্টু মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৯), ব্যাংক কলোনী এলাকার আইয়ুবের ছেলে দুদুল (২২), ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়ার রাকিবুল ইসলাম রকি (২০), বেঁদে পল্লি পোড়াবাড়ি এলাকার আতিকুর রহমানের ছেলে আসিফ (১৮), আব্দুলের ছেলে ডানু (২৭), পারভেজ, জোবায়ের ও সাহানুর রহমান চাদ। এদের মধ্যে জোবায়ের নামের এক আসামি জামিনে রয়েছে।

নিহত রোহান (১৭) পৌর এলাকার কর্ণপাড়া মহল্লার মোঃ আব্দুস সোবাহানের পুত্র এবং স্থানীয় রোদেলা মডেল স্কুলের ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো।

নিহতের বাবা আব্দুস সোবাহান জানান, মেয়ে ঘটিত বিরোধের জেরে আমার ছেলেকে হত্যা করে তারা। আমার ছেলের ফোনের মেসেঞ্জারে এক মেয়ের সাথে কথোপকথনের কিছু তথ্য আমাদের সংরক্ষণে রয়েছে। ওই মেয়ে আমার ছেলে ও আসামি হৃদয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মেয়ে আমার ছেলেকে মেসেঞ্জারে লিখেছিল হৃদয়কে মেরে ভিডিও তার মেসেঞ্জারে পাঠাতে। ওই মেয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি করেছিল।

পুলিশ জানায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে রোহান, সুফিয়ান ও যুবায়ের ব্যাংক কলোনী এলাকার ‘মুড়ি মটকা’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে টিকটক হৃদয়ের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি কিশোর গ্রুপ রোহানের ওপর হামলা করে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রোহান। এঘটনায় নিহতের বাবা ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে এপর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তাহমৃদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আরও জানান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ারটি উদ্ধার করা হয় আসামী খোরশেদ এর কাছ থেকে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।

You might also like