সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রমের শেষ দিন আজ

২৩

চলো সবাই গণ টিকা কেন্দ্রে যাই, এমন স্লোগানকে সামনে রেখে দেশে চলছে করোনা টিকা কার্যক্রমের মহোৎসব। মানুষের আগ্রহের কারণে গণটিকা কার্যক্রমের মেয়াদ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে আরও দুই দিন বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অথ্যাৎ এ কার্যক্রম চলবে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও মিরপুর জোনের সেক্রেটারি  বলেন, এই গণ টিকার আগেই রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় পাঁচটা ক্যাম্পিং করে আমরা দোকানের কর্মচারী, দারোয়ান ও স্টাফদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। তারপরও দোকান মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে যারা টিকা নেননি, তাদের এখন গণটিকার আওতায় আনার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

তিনি বলেন, মার্কেট কেন্দ্রিক আমাদের ৯০ ভাগ ব্যবসায়ীদের টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। এর পরও যদি কেউ টিকা দিতে অবহেলা করেন, তাহলে তাকে বোকা মানুষ বলা ছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই।

টিকা নিতে আশা গার্মেন্টস শ্রমিক মো. কামাল  বলেন, এতদিন টিকা নেইনি কারণ অনেক ধরণের কথাবার্তা শুনেছি, ভেবেছিলাম না নিলেও চলবে। অফিস থেকেও ছুটি পাচ্ছিলাম না। এখন অফিসে ছুটি দিয়েছে, আর টিকা না নিলে অফিসেও কাজ করতে পারবোনা। তাই বাধ্য হয়ে টিকা নিতে এসেছি। করোনা টিকা নেওয়া যেমন জরুরি। বর্তমানে টিকা কার্ডও জরুরি।

মিরপুর ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার মোহাম্মদ জামাল মোস্তফা বলেন, যারা প্রথম ডোজ করোনা টিকা নেয়নি, তাদের জন্য এই গণ টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবারে টিকা নেওয়ার চাহিদা দেখে সময় আরও দু’দিন বাড়িছেন সরকার। আজ (রোববার) আমার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডে পাঁচটা কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে, গতকাল থেকে আজ লোকের চাপটা একটু কম, তবুও বিকাল ৫ টা পর্যন্ত আমাদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে। গতকাল (শনিবার) আমরা পুরুষ ও মহিলা মিলে ৭৮০০ মানুষকে টিকা দিয়েছিলাম। আজও আমাদের টার্গেট ৪৫০০ মানুষকে টিকা দেওয়া।

মিরপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাখাওয়াত হোসেন  বলেন, শনিবার এবং রোববার অনেক কেন্দ্রে আমি ঘুরেছি। সরকারের চাপে হোক আর সার্টিফিকেটের জন্য হোক, টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের একটা আলাদা রকমের চাহিদা দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি প্রতিরোধে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতে দেশব্যাপী চলছে গণ টিকার মহোৎসব।