সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন ছাড়া ঢাকায় কোনো স্থাপনা নয়: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণের সময় রাজউকের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন থেকেও অনুমোদন নিতে হবে।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
জলাবদ্ধতা নিরসনে বেদখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারে জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দ্রুত পদক্ষেপ নিলে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব। কাউকে দোষারোপ করে নয় জলাবদ্ধতা নিরসনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহর এবং এর আশেপাশে অনেকগুলো সেতু রয়েছে। যেগুলোর নেভিগেশন ফেসিলিটি নেই। এই সেতু ভেঙ্গে নৌ চলাচল সুবিধা রেখে নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সকল খাল সংস্কার করে একটি খালের সাথে অন্যটির সংযোগ এবং খালের দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলে নগরবাসীকে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন শহর উপহার দেয়া সম্ভব।
আসন্ন বর্ষায় রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে যেন জনভোগান্তি না হয়, সে লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শুধু সভা করে পরিকল্পনা করলে হবে না ফলাফল আনতে হবে। এজন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ। ওয়াসা থেকে খালগুলো দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করায় খাল সংস্কার, দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমি আশা করি এবছর রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না।
সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, খাল উদ্ধার, সংস্কার, দখলমুক্ত এবং দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একটি সাব-কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রী।
এসময় উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।