হিমেল হাওয়ায় ফাগুনের গান, বসন্তের ঘ্রাণ, এসেছে বসন্ত

৭০৪

হিমেল হাওয়ায় ফাগুনের গান, বসন্তের ঘ্রাণ। এই বুঝি ফাগুন এলো। বলছি ফাল্গুনের কথা। আজ পয়লা ফাল্গুন। পলাশ-শিমুলের লাল ফুলে নবজীবনের দ্যোতনা। কিশোরী-তরুণী সেজেছে বাসন্তী রঙে, ফুলের সাজে। হতাশ আর দুর্বলকে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা জোগাবে। বসন্তের কাছে সব মানুষের এটাই তো প্রত্যাশা।

গাছে গাছে সবুজ কচি পাতার নাচোন, রক্তাভ শিমুল, পলাশের উচ্ছ্বাস, আমের মঞ্জরি সাক্ষী দিচ্ছে পুষ্পপল্লবে শোভিত হয়েই আসছে ঋতুরাজ।

ঋতুরাজ ফাল্গুন ও চৈত্র। ফাল্গুন ও চৈত্র এই দু’মাস বসন্তকাল, বসন্তের সঙ্গে আমাদের সখ্য সেই ছোটবেলা থেকেই, যখন ফাগুনের হাওয়া বলতে আমরা বুঝতাম ভালো খাওয়াদাওয়া। বাঙালি পরিবারে উৎসব মানেই তো পিঠা খাওয়ার ধুম।

ফাগুনের প্রথম দিনে নানা আয়োজনে দিনের নানা নির্দিষ্ট সময়ে পালন করা হয় ফাগুনের দিনটি। গ্রামে তো বটেই, রাজধানীর উদ্যান এলাকায় কান পাতলে শোনা যাবে কোকিলের কুহু ডাক বা মৌমাছির গুঞ্জরণ। শহরের ফুলের দোকান, বিপণিবিতান, এমনকি অন্দরের সাজসজ্জায় লাল-হলুদের আভা। বিকেলেই ফাগুনের আমেজ বাড়ে, কারণ, অফিস-আদালত কামাই করে তো আর সক্কাল সক্কাল বসন্ত বাতাসে মন ভাসিয়ে দেওয়া যায় না। ব্যস্ততম নগরী ঢাকা শহরেও কাজ কর্ম সেরে প্রিয়জনদের নিয়ে বাহীর হয় একটু ফাগুনের হাওয়ায় একটু বাড়তি আনন্দ পাওয়ার জন্য।

রাজধানীতে বসন্তের প্রথম দিনে প্রিয় সমাগমস্থল হয় একুশে গ্রন্থমেলা। বিকেল হতে না হতেই গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গন পরিণত হয় এক মিলন মেলায়। এখানে তরুন-তরুণী, ছোট-বড় সাবই পরিবার পরিজন নিয়ে আসে একটু সুখের খোঁজে।

বসন্তের শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি বইয়ের আলমারি ভরিয়ে ফেলারও সুযোগ থাকে, তবে মন্দ কী! উদ্যান ও পার্কগুলোয় পাওয়া যাবে তরুণদের উচ্ছ্বসিত প্রাণখোলা আড্ডার সুবাস। শহরজুড়ে বসন্তকে আবাহন জানাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাইকে শোনা যাবে কবিগুরুর গান-কবিতা। বসন্তের এই দিনে সব তিক্ততা ভুলে ভালোবাসায় চোখ রাঙানোর দিন।

 

নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি

You might also like