হংকংয়ে আবাসিক কমপ্লেক্সে লাগা ভয়াবহ আগুন অবশেষে নিভেছে। স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ জনে। এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৬ জন। এদের মধ্যে ১১ ফায়ার সার্ভিস কর্মীও আছেন। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে সবশেষ আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে হংকং ফায়ার সার্ভিস। খবর এএফপির।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব মিলিয়ে কমপ্লেক্সটির আটটি ব্লকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঁশের মাচা থাকায় বলগুলোর প্রায় সব ভবনকেই গ্রাস করেছে আগুন। ভবনগুলোর ভেতর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন আরও দ্রুত ছড়ায়; যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বেশ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে গিয়ে একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মীও প্রাণ হারিয়েছেন।
অবশ্য, আগুন প্রায় পুরোপুরি নিভে গেলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোর ভেতর অভিযান চালানো হচ্ছে।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে, তা জানতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। নির্মাণকাজের অংশ হিসেবে ভবনগুলো ঘিরে থাকা বাঁশের মাচা ও প্লাস্টিকের জালও তদন্তের আওতায় রয়েছে।
হংকংয়ের দুর্নীতি দমন সংস্থা বলেছে, আবাসিক কমপ্লেক্সটির সংস্কারকাজ নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে পুলিশ বলেছিল, আগুন লাগার স্থানে অসাবধানতাবশত ফোমের প্যাকেজিং ফেলে রাখার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হংকংয়ের উত্তরাঞ্চল তাই পোর ওয়াং ফুক কোর্টের বাসিন্দারা এএফপিকে বলেছেন, তারা আগুনের বিষয়ে কোনও সতর্ক সংকেত পাননি। ফলে, প্রতিবেশীদের সতর্ক করতে দরজায় দরজায় গিয়ে খবর দিতে হয়েছে তাদের।
সুইন নামের এক বাসিন্দা বলেন, আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল। আমি দেখলাম একটি মাত্র হোস পাইপ দিয়ে কয়েকটি ভবন বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে। ডোরবেল বাজানো, দরজায় নক, প্রতিবেশীদের সতর্ক করা, তাদের বের হয়ে যেতে বলা—পরিস্থিতি এমনই ছিল।
স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলকর্মী ছাড়াও নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ছুটে এসেছিলেন।