একাদশে মেসি- লাওতারো মার্টিনেজ না থাকলেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপের টিকিট আগে নিশ্চিত হওয়াতে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি বেঞ্চের শক্তি-সামর্থ্য যাচাইয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। সেই পরীক্ষায় সফলও হয়েছেন তিনি। চিলিকে তাদের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্কালোনির শিষ্যরা।
সান্তিয়াগোর এস্তাদিও ন্যাসিওনাল জুলিও মার্টিনেজ প্রাদানোসে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার একাদশ সাজানো হয় আলভারেজ, নিকো পাজ, আলমাদা, সিমিওনের মতো তরুণদের নিয়ে। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে উভয় দল । প্রথমার্ধে দারুণ শুরু করেছিল চিলি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোলের দারুণ সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। তবে অ্যালেক্সিস সানচেজের নেওয়া শক্তিশালী শটটি ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এর পরপরই ষষ্ঠ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ওঠে আর্জেন্টিনা। জুলিয়ান সিমিওনের বাড়ানো পাস থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রদ্রিগো ডি পল, কিন্তু তার শট চলে যায় বারের উপর দিয়ে।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পায় আর্জেন্টিনা। থিয়াগো আলমাদার পাস ধরে অ্যাথলেতিকো মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ ঢুকে পড়েন চিলির ডি-বক্সে। চিলির গোলরক্ষক ব্রায়ান কোর্তেস গোলবার ছেড়ে বেরিয়ে আসলে চিপ করে বল জালে জড়িয়ে দেন আলভারেজ। প্রথমার্ধের শেষদিকে আরও একটি গোলের সুযোগ এসেছিল আর্জেন্টিনার সামনে। ৪৩ মিনিটে নেওয়া নিকো পাজের নিচু শটটি সহজেই ঠেকিয়ে দেন কোর্তেস।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন কোচ স্কালোনি। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে মাঠে নামেন লিওনেল মেসি, যিনি নিকো পাজের বদলি হিসেবে খেলার সুযোগ পান। এছাড়া ৮৪ মিনিটে অভিষেক হয় ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর, যিনি ইতোমধ্যেই আর্জেন্টিনার ফুটবল মহলে বিস্ময়বালক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
বিরতির পরে দুই দল একাধিক সুযোগ পেয়েছিল কিন্ত কোন দল আর গোলের দেখা না পেলে ১-০ স্কোরলাইনেই আর্জেন্টিনার বিজয় নিশ্চিত হয়। এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের কনমেবল অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রইল লিওনেল মেসিরা।