ব্রাজিলের জার্সিতে একটা সময় পেলে, রোনালদো নাজারিও, রোনালদিনহোর মত কিংবদন্তিরা আলো ছড়িয়েছেন। তাদের পর ধরা হতো হলুদ জার্সিতে হয়তো আলো ছড়াবেন নেইমার জুনিয়র। তবে ইনজুরি, ফর্মহীনতা আর নতুনদের উত্থানে যেন ব্রাজিল দলের মূল ছবি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন ৩৩ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
গত কয়েক বছর ধরে সেলেসাও তারকাকে মাঠে কম, হাসপাতালে বেশি দেখা যায়। কখনো হাঁটুর অস্ত্রোপচার বা কখনো গোড়ালির চোট নিয়ে প্রায়ই তাকে হাসপাতালে বিছানায় কাতরাতে হয়েছে। এসব চোট তার ফিটনেসে প্রভাব ফেলে ক্যারিয়ারে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন টেনে দিয়েছে। এমনকি সবশেষ সেলেসাওদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি হতভাগা নেইমারের। যা তার ভক্তদেরও হতাশ করেছে।
এদিকে, গত ৩১ আগস্ট রাতে, বেলমিরোতে ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ২২তম রাউন্ডে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে সান্তোসের হয়ে মাঠে নামেন ব্রাজিলের পোস্টার বয়। যে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হলেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন নেইমার। তবে সেটা পারফরম্যান্সের জন্য নয়। গোটা ম্যাচে সান্তোস তারকা ছিলেন বিবর্ণ। এমনকি শেষদিকে রেফারির সঙ্গে তর্ক করে দেখেছেন হলুদ কার্ডও।
পরে, ম্যাচ শেষে ব্রাজিল দলে ফেরা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন নেইমার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এটি আমার শারীরিক অবস্থার কারণে নয়, বরং এটি কোচের সিদ্ধান্ত। আর আমি এ সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।
তবে নেইমারের এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তি এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। সাবেক এ রিয়াল কোচ এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ সাজাচ্ছেন। আর তার এই দলে জায়গা পেয়েছেন ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগো, মার্তিনেল্লি এবং এন্দ্রিকদের মতো তরুণ ও তুখোড় প্রতিভাবানরা। আর তাদের ভিড়েই হারিয়ে গিয়েছেন একসময়ের ব্রাজিলের পোস্টার বয় খ্যাত তারকা নেইমার জুনিয়র।