বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনিত ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এবং তার পদ সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আজ (বুধবার) এক বিবৃতিতে তিনি তীব্র প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি দলীয় কেন্দ্র থেকে প্রেরিত এক চিঠিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি দলের অভ্যন্তরে হানাহানি ও সংঘাতে মদদ দিয়েছেন এবং এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন-যা তিনি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
গিয়াস কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিএনপির একজন আদর্শিক রাজনীতিক। শহীদ জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি সর্বদা দলের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি এবং জনগণের পাশে থেকেছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও একটি বিশেষ মহলের চক্রান্তমূলক প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।”
তিনি আরও বলেন, আমি শুধু নিজে সন্ত্রাস ও অরাজকতার বিরুদ্ধে ছিলাম না, বরং দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় চট্টগ্রামের রাউজান এলাকায় আওয়ামী প্রভাবিত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছি। বরং আমি একাধিকবার দলের কেন্দ্রীয় ফোরামে লিখিতভাবে এবং সরাসরি কিছু নেতা-কর্মীর অপতৎপরতার বিষয়ে সতর্ক করেছি। তা সত্ত্বেও, উল্টো আমাকে অপরাধী বানিয়ে পদ স্থগিত করা দলের শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি আরও জানান, এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে তিনি গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর একটি চিঠি প্রদান করেন যাতে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। অথচ সেই উদ্যোগকেই ভুল ব্যাখ্যা করে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
গিয়াস কাদের চৌধুরী অভিযোগ করেন, “যে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেটি পক্ষপাতদুষ্ট ও সত্যনিষ্ঠ নয়। আমি দাবি জানাই—এই বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক। আমি নিজেও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।”
তিনি দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি আহ্বান জানান, “দলের অভ্যন্তরে একটি ষড়যন্ত্রমূলক গোষ্ঠী বিএনপির আদর্শ ও নেতৃত্বকে বিতর্কিত করতে সচেষ্ট। আমি আশা করি, চেয়ারপারসনের বিচক্ষণ নেতৃত্বে একটি ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত হবে এবং আমার রাজনৈতিক সম্মান পুনঃস্থাপন করা হবে।”