বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে মেক্সিকোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ক্লডিয়া শিনবাউম। এবারের নির্বাচনে তিনি ৫৮ থেকে ৬০ ভাগ ভোট পেয়েছেন। এর ফলে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে তিনি ৩০ শতাংশের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। প্রাথমিক গণনা শেষে সোমবার এই জানিয়েছে মেক্সিকোর সরকারি নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
আগামী ১ অক্টোবর মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ক্লডিয়া। সেদিন তিনি তার রাজতৈনিক গুরু ও সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডরের উত্তরসূরি হিসেবে দেশের দায়িত্ব নেবেন।
৬১ বছর বয়সী ক্লডিয়া মেক্সিকো সিটির সাবেক মেয়র। তিনি একজন জ্বালানি বিজ্ঞানী। নির্বাচনে জয়ের পর তিনি আন্দ্রেস ম্যানুয়েল সরকারের নীতি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের ব্যর্থ করব না।
২০১৮ সালে ক্লডিয়া মেক্সিকো সিটির প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য গত বছরই এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
মেক্সিকো সিটির মেয়র পদকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পদ বলে মনে করা হয়। এই পদে যিনি দায়িত্ব পালন করেন, তার জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পথ অনেকটা খোলাই থাকে।
ক্লডিয়ার গুরু আন্দ্রেস ম্যানুয়েল ২০১৮ সাল থেকে মেক্সিকোর ক্ষমতায়। তার ছয় বছরের আমলে দেশটির লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ফলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ করলেও এখনো দেশের ৬০ ভাগ মানুষ তাকে চান।
কিন্তু এত জনপ্রিয় হলেও মেক্সিকোর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেননি আন্দ্রেস ম্যানুয়েল। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কেউ দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন না।
তবে নিজে না দাঁড়ালেও শিষ্য ক্লডিয়ার ওপর নির্বাচনী দায়িত্ব দেন তিনি। তার জনপ্রিয়তার ওপর ভর করেই মূলত এবারের নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছেন ক্লডিয়া।