তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের কাছে হারলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মান বাঁচানোর লড়াইয়ে ১২৪ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়ে ৪ উইকেটে জয় পায় সফরকারী আইরিশ মেয়েরা।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা আয়ারল্যান্ড শুরু থেকে ঠান্ডা মেজাজে খেলে। আইরিশ দুই ওপেনার অ্যামি হান্টার ও অধিনায়ক গ্যাবি লুইস কোন উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে তুলে নেন ৪৭ রান। বাংলাদেশের বোলারদের তোয়াক্কা না করে রান বাড়াতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।
এই জুটিকে ভাঙেন জান্নাতুল ফেরদৌস। অ্যামি হান্টারকে ফিরিয়ে দেন দলীয় ৫৫ রানে। এরপর অধিনায়ককে ফেরান ২১ রানে রাবেয়া খান। ১০ম ওভারে লিয়াহ পাউল রান আউটের ফাঁদে ও পরে ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট ফেরেন রাবেয়ার দ্বিতীয় শিকারে।
লরা ডিলেনি-রেবেকা স্টোকেল জুটি মিলে শতক পার করেন। পরে নাহিদার বলে বোল্ড হন রেবেকা। ক্রিজ আগলে রাখেন ডিলেনি। তার ৩৬ রানে ভর করে একবল হাতে রেখেই জয় পায় আয়ারল্যান্ড। ৩১ বলে ৩৬ রান করে ম্যাচ সেরা হন আইরিশ এই ব্যটার ডিলেনি। সিরিজ সেরার মুকুট পরেন একই দলের প্রেন্ডারগাস্ট। তিনি ৫৪ রান দিয়ে সিরিজে ১০ উইকেট শিকার করেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ব্যাটিং ওপেনিংয়ে সোভানা মোস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামেন মুরশিদা খাতুন। ফিল্ডিংয়ে শক্ত অবস্থান দেখায় আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা। পেস আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে টাইগ্রেস শিবিরকে।
দলীয় ৩৩ রানে প্রেন্ডারগাস্টের শিকারে সাজঘরে ফিরে যান মুরশিদা খাতুন। ওয়ান ডাউনে নামেন শারমিন আখতার। সোভানাকে নিয়ে কিছুটা মারমুখী খেলেন শারমিন আক্তার। দলীয় ১০৪ রানে মাগুইর ভাঙেন এই জুটি। নিজের ৩৪ রানে ফিরে যান শারমিন। পরে একই পথে হাঁটেন সোভানাও। ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে মাগুইরের বলেই ফেরেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।
এপর দুই অঙ্কের ঘরে আর কোন ব্যাটার পৌঁছতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১২৩ রান করে টাইগ্রেসরা।
চার উইকেট নেন আইরিশ পেসার প্রেন্ডারগাস্ট। দুটি উইকেট নেন মাগুইর।