অপরাধী শনাক্তে ডিএমপিতে বসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। মাত্র একটি তথ্যে শনাক্ত হবে অপরাধী।
মাত্র একটি তথ্যে শনাক্ত হবে অপরাধী। এ লক্ষে ডিএমপিতে বসছে, সাইবার ও ডিজিটাল ফরেনসিক ক্রিমিন্যাল ইন্টিলিজেন্স অ্যানালাইসিস ল্যাব। ডিএমপি কমিশনার বলছে, সময়ের সাথে অপরাধীরা তাদের ধরণ পাল্টেছে।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই প্রযুক্তি দিয়ে সহজেই অপরাধী শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও নজরদারি করা সম্ভব।
বিশ্বায়নের এই যুগে সহজলভ্য প্রযুক্তিকেন্দ্রিক অপরাধ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিসরে বেড়েছে। এতে করে দ্রুত অপরাধী শনাক্ত ও অপরাধ নিয়ন্ত্রনে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নানা প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি কাজে লাগাচ্ছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে।
অপরাধী শনাক্ত এবং নজদারিতে রাখতে এবার বাংলাদেশ পুলিশও স্থাপন করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রযুক্তি। সেইসাথে প্রযুক্তিনির্ভর তদন্তে গড়ে তোলা হচ্ছে দক্ষ জনবল। গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে স্থাপিত অত্যাধুনিক ল্যাবটি উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, অপরাধীদের অনেক তথ্য এই ল্যাবে ইনপুট দেয়া থাকবে। কেউ অপরাধ করলে আঙ্গুলের ছাপ কিংবা তার ফোন নাম্বার, ন্যাশনাল আইডি নাম্বার বা তার মা-বাবার নাম এমন তথ্য দিয়েও অপরাধী শনাক্ত করতে পারবো। এমনকি তার পাসওয়ার্ড বা ব্যবহৃত যেকোন ধরনের গাড়ির নাম্বার যেকোন একটা তথ্য পেলেই শনাক্ত করতে পারবো। এছাড়া দেশের কোথায় কোথায় কত অপরাধ করেছে সমস্ত তথ্য আমাদের কাছে মুহূর্তের মধ্যে চলে আসবে।
অপরাধ ও অপরাধী সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণ, অরগানাইজড ক্রাইম, সাইবার ক্রাইম ও ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ডিটেকশন, সাইবার স্পেস মনিটরিং ও সার্ভিলেন্সে পৃথক চারটি শাখায় একাধিক সেল সিআইএ ল্যাবে। এসব সার্ভিস একটি নির্দিষ্ট ডাটাবেজে সংযুক্ত থাকবে। যা ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫০টি থানার বিভিন্ন অপরাধীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও অপরাধীকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের কাজে সহায়তা করবে।
ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ফরেনসিক ল্যাবগুলো শুধু সাক্ষ্যগ্রহন করে। আর এই ল্যাবে আমাদের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রযুক্তি থাকবে। এটার মাধ্যমে আমরা সহজেই অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারবো। যারা ছিনতাই করে তাদের বিভিন্ন ধরনের ছবি ইনপুট দিয়ে রাখবো ফলে সে রাস্তায় বের হলেই ক্যামেরা আমাকে জানিয়ে দিবে যে সে রাস্তায় বের হইছে।
অত্যাধুনিক এই ডিজিটাল ল্যাবের সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত ক্লোজসার্কিট ক্যামেরাগুলোও সংযুক্ত থাকবে। কোনো চিহ্নিত অপরাধী এই ক্যামেরায় আওতায় এলে কন্ট্রোলরুমে থাকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম শনাক্ত করবে তাকে।