সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, মুরগি, ডিম, মাছ ও মাংসসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। রোজার আগে বাজারে দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি দিশেহারা নিম্নআয়ের মানুষ।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে দেড় থেকে দুই টাকা। আগে পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৫৪ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রায় মাসখানেক ধরে ব্রয়লার ও ডিমের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। সপ্তাহখানেক আগে ব্রয়লারের কেজি ২২০ টাকা থাকলেও বর্তমানে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা মাসখানেক আগে ছিল ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। লেয়ার ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়।
বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। হাঁসের ডিম ২২০ এবং দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।
পাঙাশ-তেলাপিয়া ছাড়া অন্যান্য মাছের দামও কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর মাংসের দামও ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ৭৫০ থেকে ৭৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বেড়েছে খাসির মাংসের দামও।
কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
এ ছাড়া বাজারে সবজির দাম কিছুটা হাতের নাগালে আছে। আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ১১০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, পটল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বড় রসুন ২০০ টাকা, ছোট রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা ২৪০ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, দেশি মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা এবং সয়াবিন তেলের লিটার ১৮৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।