দৈনন্দিন জীবনের একটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু হচ্ছে ফোন। ছোটবড় সকলের প্রয়োজন মেটাতেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে স্মার্টফোন। তবে আপনি জানেন কি? এই ফোন থেকেই নানা ধরনের রেডিয়েশন বের হয়ে থাকে। যা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলাও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
এরপরও কানভেদে ফোন ধরায় ক্ষতির তারতাম্য হয়/ঘটে। এ বিষয়ে ফিনল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী তাদের গবেষণায় দেখেছেন, ডান ও বাম কানে ফোন ধরার মধ্যে তারতম্য রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন, স্মার্টফোন হোক কিংবা ফিচার ফোন-উভয় ধরনের ফোনই বেশি ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই ফোনে কথা বলার সময় ফোন কোন কানে ধরবেন, ডান নাকি বাঁ কান-এ নিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসা ছিল।
বেশিরভাগ মানুষ ফোনে কথা বলার সময় তাদের ডান কান ব্যবহার করে থাকেন। একটি গবেষণা অনুযায়ী, ডান দিকের কান সরাসরি মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। ফলে আপনি ছোট ছোট বিষয় নিয়ে চিন্তিত হতে পারেন। তখন বিকিরণ মস্তিষ্ককে বেশি প্রভাবিত করে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ ডানহাতি। ফলে যেকোনো কাজ করার জন্য প্রথমেই তারা ডান হাত, ডান পা বা ডান কান ব্যবহার করেন।
তবে এক্ষেত্রে ডান কানে ফোন ধরার জন্য নানা সমস্যা দেখা দেয় ব্যবহারকারীর। বাঁ কানের তুলনায় ডান কান মস্তিষ্কের বেশি কাছে থাকে। ফলে ডান কানে ফোন রেখে কথা বললে ব্রেনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়।
তাই ফোনে কথা বলার সময় বাঁ দিকের কান ব্যবহার করা উচিত। ফিনল্যান্ডের বিজ্ঞানী এবং নিউক্লিয়ার সেফটি অথরিটির ২০০২ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, যখন মানুষের কোষ ফোনের সংস্পর্শে আসে তখন মোবাইল ব্লাড-ব্রেন ব্যারিয়ার-এর প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করে। ব্লাড-ব্রেন ব্যারিয়ার-এর বাধা মানবদেহে সুরক্ষা কবচ হিসেবে পরিচিত। এটি রক্তের দূষিত পদার্থগুলোকে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
তাই বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ফোনে কথা বলার সময় অবশ্যই বা কানে ফোন রিসিভ করা উচিত। তবেই মানবদেহের ব্লাড-ব্রেন ব্যারিয়ার সুরক্ষিত থাকবে।