টানা আন্দোলন শেষে কারখানায় কাজে ফিরতে শুরু করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। কাজে ফেরা শুরু করলে শ্রমিকদের দেয়া হচ্ছে নানা চাপ। কারো নাম ও ছবি সম্বলিত ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে দেয়ালে। আবার কারো নামে দেওয়া হচ্ছে মামলা।
বন্ধ কারখানাগুলোর ফটকে সকালে অল্প সংখ্যক শ্রমিক ভিড় করলেও তাদের সরিয়ে দেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে শমিকদের উদ্দেশে বাড়িতে অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়া হয়। শ্রমিকরা সংগঠিত হলে কিংবা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়।
আশুলিয়ার কয়েকটি কারখানার ফটকে বন্ধের নোটিশ দেখা যায়। তবে এ আর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেডের নোটিশ বোর্ডে ১৫৪ জন শ্রমিকের নাম, ছবিসহ কয়েকটি তালিকা দেখা গেছে। তালিকা করা শ্রমিকদের সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আশুলিয়া ও সাভারে শ্রমিক অসন্তোসে ঘটনায় ৮টি কারখানা কর্তৃপক্ষ ১২৯৯ জনের বিরুদ্ধে কারখানা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে পৃথক মামলা করেছেন। সাভার ও আশুলিয়া মিলে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানা থেকে প্রাাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, আশুলিয়া থানাধীন ৬টি পোশাক কারখানা কৃর্তপক্ষ ১৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৬৮৫ অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৮৮১ জনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে। এ থানায় মোট আটক রয়েছে ১২ জন।
মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস লিমিটেড ফ্যাক্টরি-২ এর নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বাদী হয়ে গত ০৯ জানুয়ারি আশুলিয়া থানায় ভাঙচুর ও চুরির করে ২৮/২৯ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগে ৫৫ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মাহমুদ ফ্যাশন লিমিটেড-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. শাহ-আলম গত ১১ জানুয়ারি বাদী হয়ে বিভিন্ন অভিযোগে ২৯ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে ও ২০/২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানার (ওসি) রিজাউল হক জানান, শ্রমিক অসন্তোসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬টি মামলা হয়েছে। এতে ১০-১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, টানা আন্দোলনের পর গত দুই দিন ধরে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে কাজে যোগ দিয়েছে শ্রমিকরা।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি