নেত্রকোনার বিভিন্ন গ্রামে নকশী কাঁথা তৈরির ব্যাপক সাড়া পড়েছে। সংসারের নিত্যদিনের কাজের ফাঁকে গ্রামের নারীরা এখন আর অলস সময় না কাটিয়ে বাড়ির উঠানে চার-পাঁচজনের দলে বিভক্ত হয়ে অথবা একা বসে নকশী কাঁথা তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। এতে করে তাদের নিজেদের ব্যবহারের পাশাপাশি এসব কাঁথা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন তারা।
নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে-গঞ্জে এখন চলছে কাঁথা তৈরির কাজ। গ্রামের গৃহবধূরা সংসারের দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে ব্যস্ত সময় পার করছেন কাঁথা সেলাই নিয়ে। পুরাতন কাপড় আর সুঁই-সুতাই এখন তাদের অবসর সময়ের সঙ্গী।
এক সময় রঙ-বেরঙয়ের এসব কাঁথার কদর ছিল বেশি। বাড়িতে অতিথি, নতুন জামাতা কিংবা উৎসবে এর চাহিদা ছিল ব্যাপক। কিন্তু, আধুনিকতার ছোঁয়ায় ভাটা পড়েছে কাঁথা ও নকশী কাঁথার ব্যবহারে। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এসব গ্রামের নারীরা নিজেদের তৈরি করা বাহারি সব ডিজাইনের নকশী কাঁথা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।
বিসিকের এ কর্মকর্তা জানালেন, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনার জন্য কাঁথা যারা বাজারজাত করার চেষ্টা করছেন তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনা দিয়ে চলছেন তারা।
কাঁথা শিল্পে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে নারীরা।