অনিবন্ধিত, অবৈধ বা চোরাই পথে আসা কোনো মোবাইল ফোন কেউ যেন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য অল্প সময়ের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (আইএমইআই) আরও কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে বিটিআরসিকে শুধু নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হলে হবে না জানিয়ে পলক বলেন, আমাদের আরও একটু উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল কৌশল নিয়ে তরুণ প্রজন্ম ও উদ্ভাবকরা যেন কাজে লাগাতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।
পলক বলেন, আমাদের একদিকে যেমন রাজস্ব পাওনা যাদের কাছে আছে সেগুলো আদায় করবো। কারণ বর্তমানে যে আন্তর্জাতিক সংকট সেখানে রাজস্ব আয়ের দিকে মনোযোগী হতে হবে। তবে অবশ্যই শুধু যারা রাজস্ব বেশি দেয় তাদের কাছে কাছে আরও বেশি আহরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ না করে আমাদেরকে রাজস্ব আহরণের যে সম্ভাবনা আছে সেগুলো বৃদ্ধি করতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমানে অত্যাধুনিক যে প্রযুক্তি আছে- ফাইভজি, রোবোটিক্স, আইওটি- এগুলোকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আমরা শুধু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ না খাওয়াই, এই পরিবর্তনের সঙ্গে উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে নেতৃত্ব দিতে পারি তার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করছি আমাদের গার্মেন্টস শিল্প ঝুঁকির মধ্যে আছে, আমরা লক্ষ্য করছি জর্মানি-জাপান যেভাবে রোবোটিক্স আইওটি ব্যবহার করা শুরু করেছে, তাতে যদি আমরা টেকনোলজি সম্পর্কে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে তুলতে না পারি তাহলে মারাত্মক একটা অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারি।