মধ্যপ্রাচ্যে গত ২৩ জুন রাতের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই এমিরেটস তাদের নিয়মিত ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু করেছে। এর ফলে, এমিরেটস যাত্রীদের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ভোগান্তির শিকার হতে হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে এয়ারলাইন্সটি তার কন্টিনজেন্সি প্ল্যান চালু করে এবং কিছু সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করা হয় এবং আকাশপথে ফ্লাইট জ্যামের কারণে কিছু সংখ্যক ফ্লাইটকে রুট পরিবর্তন করে দীর্ঘপথ অবলম্বন করতে হয়। তবে কোনো ফ্লাইট ডাইভারশনের ঘটনা ঘটেনি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এমিরেটস বাংলাদেশ জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান পরিস্থিতির মধ্যে এমিরেটস তাদের ফ্লাইট শিডিউল অক্ষুণ্ন রেখেছে, তবে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলকে এড়িয়ে কিছু ফ্লাইটকে বিকল্প পথে চলাচল করতে হয়েছে। এই সময়ে এমিরেটস তাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে ৫ হাজার ৮০০টির অধিক ফ্লাইটে ১৭ লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করেছে।
সংঘাতের কারণে এমিরেটস তাৎক্ষণিকভাবে ওই অঞ্চলে আক্রান্ত দেশগুলোতে তাদের ফ্লাইট সাময়িকভাবে বাতিল করলেও অন্যান্য গন্তব্যে নিয়মিতভাবে ফ্লাইট চলাচল করেছে। আম্মান ও বৈরুতে কিছু সময়ের জন্য ফ্লাইট সাসপেন্ড করা হলেও দ্রুততম সময়ে শুরু করা হয়।
এ সময় এমিরেটস বিভিন্ন এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ ও সময় রক্ষা করেছে এবং সম্ভাব্য সব ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে কিছু সংখ্যক ফ্লাইটকে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল এড়িয়ে বিকল্প পথে পরিচালনা করেছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে এমিরেটস তাদের ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ চ্যানেল ইত্যাদির মাধ্যমে যাত্রীদের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত রেখেছে। এয়ারলাইনের রিজার্ভেশন টিমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের রি-বুকিং সহ অন্যান্য বিষয়ে জরুরি সহায়তা দিয়েছে।