পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তা তোয়াক্কা করছে না শিকারিরা। ফাঁদ পেতে বন্যপাখি শিকার করছে ঠাকুরগাঁওয়ের একশ্রেণীর পাখি শিকারি। তারপর খাঁচাবন্দি পাখিগুলো প্রকাশ্যেই স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছেন তারা।
বালিয়াডাঙ্গীতে ফাঁদ পেতে প্রকাশ্যে চলছে বন্যপাখি শিকার। আইনের সঠিক বাস্তবায়ন ও সচেতনতার অভাবে নানা প্রজাতির পাখি ধরা পড়ছে শিকারিদের ফাঁদে। পরে এসব পাখি বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় হাট-বাজারে।
উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ‘লাহিড়ী হাটে’গড়ে উঠেছে এ বন্যপাখি বিক্রির হাট। প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার বসে হাটটি। এসব হাটে টিয়া, ঘুঘু, শালিক, বক, পানকৌড়ি ও ওয়াক্কাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিক্রি হচ্ছে। শুধু এ হাটেই নয়, ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যান্য হাট-বাজারেও প্রকাশ্যে বন্যপাখি বিক্রি হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখি নিধন ও হাট-বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি বন্ধের দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চাড়োল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, ইতিমধ্যে কয়েকজন পাখি বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে। এরপরেও যদি কেউ পাখি বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, আইন অমান্য করে পাখির শিকারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বন বিভাগের কর্মকর্তা।
২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে এক লাখ টাকা জরিমানা, এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড। এবং একই অপরাধ পুনরায় করলে, দুই লাখ টাকা জরিমানা, দুই বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। অথচ এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে হাট-বাজারগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিক্রি করছে শিকারিরা।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি