যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। দেখে মনে হয় এ যেন এক বিশাল আয়তনের হলুদ গালিচা। ভিনদেশী ফুল সূর্যমুখীর এমনই চিত্র দেখা গেছে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। আর এই ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। প্রথমে কৃষকদের সূর্যমূখী ফুল চাষে আগ্রহ কম থাকলেও কৃষি প্রনোদনার আওতায় ও কৃষি অফিসের সহায়তায় ভালো ফলন ও কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এই ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্য পাশা বাগান বাড়ি গ্রাম। কৃষি প্রণোদনার আওতায় এই গ্রামে প্রায় চার একর জমিতে চাষ করা হয়েছে সুর্যমূখী ফুল। প্রথমে আগ্রহ কম থাকলেও কম খরচ আর লাভ বেশি হওয়ায় এ ফুল চাষে আগ্রহ বেড়েছে এখানকার কৃষকদের।
শুধু পাকুন্দিয়ায় নয়, এর চাষ হয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কামালিয়ারচর এলাকায়। তিন বিঘা জমিতে চাষ করা সূর্যমুখী ফুলের ফলন দেখে খুশি কৃষক গিয়াস উদ্দিন। প্রতিদিনই ফুলের বাগানটি দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
এদিকে, বীজ রোপন করার ১১০ দিন পর এই ফুল থেকে বীজ ও পরে তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করা যায়। তাই অধিক লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
এ এলাকায় সূর্যমুখী ফসল নতুন হওয়ায় কৃষকদের নিয়মিত প্রযুক্তিগত সকল ধরণের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
জেলায় আড়াই হাজার কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এ ফুলের বীজ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, মোট ৩৩৫ হেক্টর জমিতে এবার সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে।