২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে সোনামসজিদ স্থলবন্দরটি চালু হয়। ফলে, এ স্থলবন্দরই এখন প্রায় ৫ হাজার শ্রমিকের উপার্জনের ভরসা। এদের মধ্যে পানামা পোর্ট লিংক-এর ভেতরে নিবন্ধিত শ্রমিকের সংখ্যা ১,২৬৬ জন। বাকি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক কৃষিপণ্য, পাথর, কয়লা, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্য ভারতীয় ও দেশীয় ট্রাকে ওঠানামার কাজ করেন।
এখানকার নিবন্ধিত ও নিবন্ধনবিহীন শ্রমিকরা জানান, এ স্থলবন্দরে কাজ পাওয়ায় আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন তারা। এখানে কাজ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা আয় করেন তারা।
স্থলবন্দর চালু হওয়ার আগে শিবগঞ্জ উপজেলা শাহবাজপুর ও দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। এখন নিজেদের কাজের জায়গা তৈরি হওয়ায় এসব ছেড়ে দিয়েছেন তারা। কিন্তু, অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। তাই শ্রমিকদের জন্য বীমার দাবি জানালেন শ্রমিক ঠিকাদার।
সীমান্তবর্তী এলাকার শ্রমজীবীদের জন্য সবচেয়ে বড় কাজের ক্ষেত্র সোনামসজিদ স্থলবন্দর। এখানে পণ্যবোঝাই ও খালাস করতে একমাত্র অবলম্বন শ্রমিকরাই। তাই সরকারেরও উচিত শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করা বলে জানালেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ইতিমধ্যে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খুব দ্রুতই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এছাড়া, আগামীতে সকল শ্রমিকদের জন্য বীমা চালুর বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলেও আলোচনা করা হবে।
২০২০-২১ অর্থবছরে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ৪৮১ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, এ বছর রাজস্ব আদায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।