কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রাম। এ গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারই তাল পাতার পাখা তৈরি করায় সকলের কাছে গ্রামটি ‘পাখা পল্লী’ নামেই বেশি পরিচিত। বর্তমানে, গ্রীষ্মের উষ্ণতা বাড়ায় এই তাল পাখা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ গ্রামের কারিগররা। বছরের নয় মাস তারা এ পাখা তৈরির কাজ করেন।
এ গ্রামের প্রতিদিনের সকাল শুরু হয় তাল পাতার পাখা তৈরির ব্যস্ততা দিয়ে। কারিগররা জানান, জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রতি পিস ৫ থেকে ৮ টাকা দরে তাল পাতা কিনে তা দিয়ে গড়ে ৮-১০টি পাখা তৈরি করা যায়। আর পাইকারিতে এসব পাখা বিক্রি করেন ১০ থেকে ১২ টাকা দরে।
এদিকে, এ পাখা তৈরিতে পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ির গৃহবধূ ও সন্তানরাও কাজ করে বাড়তি টাকা আয় করছেন।
কিন্তু, স্বল্প পুঁজি, প্লাস্টিকের তৈরি পাখাসহ গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ আসায় বৈদ্যুতিক ও ব্যাটারি চালিত পাখার কারণে দিন দিন তাল পাতার তৈরি পাখার চাহিদা কমে যাচ্ছে বলে জানালেন, কারিগর ও বাজারের খুচরা বিক্রেতারা।
এদিকে, এই ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পুঁজির ব্যবস্থাসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন এ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
ঐতিহ্যবাহী এ কুটির শিল্প টিকিয়ে রাখতে কারিগরদের সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ করলে এ শিল্পের আরো প্রসার ঘটবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।